গাজীপুরে আদালতের মামলা ও সরকারি গেজেট উপেক্ষা করে ই-নামজারির মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি দখলের এক চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।** ভূমি দালাল ও কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তার জোটবদ্ধ এই অপতৎপরতার অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা উত্তাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার নালিয়াটেকী মৌজার জোত নং ৫০০, ৪৪৪ ও ৪৪৩ নিয়ে ৪৯২/২০১৩ নম্বর মামলা গাজীপুর জেলা জজ আদালত ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু এই মামলা চলাকালীনই জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে নামজারির প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, অর্জুন চন্দ্র দাস নামক এক ব্যক্তি স্থানীয় দালাল মো. বাদলের সহায়তায়, কোনো বৈধ আদালতের রায় ছাড়াই জাল দলিল তৈরি করে নামজারির আবেদন করেন। অথচ মূল রেকর্ড অনুযায়ী, জমিটি আবদুল বরকত, আহাদ বক্স, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও মেঘু চন্দ্র দাসের নামে নথিভুক্ত ছিল।
তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যে, এস.এ ২৩ ও আর.এস ৩৮ নং দাগে ই-নামজারি আবেদন নং ৫৯৯৫৫৮৬ এবং ই-নামজারি নথি নং ৮৬৫৩/২২-২৩-এর মাধ্যমে জোত নং ৫০০-এর আওতায় মো. আলী হোসেন ও মুহাম্মদ শরিফ হোসেনের নামে প্রায় সাত শতাংশ সরকারি জমি অবৈধভাবে নামজারি করার চেষ্টা চলে। কিন্তু সরকারি ‘ক’ গেজেটে জমিটি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে স্পষ্টভাবে সরকারি মালিকানাভুক্ত বলে উল্লেখ রয়েছে।
এ ঘটনায় শ্রীপুর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক নায়েব মো. নূর এ আলম, দালাল বাদল ও কম্পিউটার অপারেটর নয়নসহ কয়েকজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিলেও, এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমির প্রকৃত মালিকদের পক্ষ থেকে অবৈধ নামজারি বাতিল ও দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে জোরালো আওয়াজ তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।