আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই
থেমে থমে হালকা-মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জেলা শহরের অধিকাংশ এলাকা
এখন হাটুজল। এ ছাড়া চরাঞ্চলসহ নিম্নঞ্চল ৪/৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এ
পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সকাল থেকে ৫৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন
স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে বেঁড়িবাধ না থাকায় দু’দফা জোয়ারের ৪ ফুট উচ্চতর পানিতে রাঙ্গাবালীর
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মোল্লা গ্রাম, বেড়িবাধ বিধ্বস্ত চরআন্ডা ও কলাপাড়ার লালুয়াসহ
১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্ধী হয়ে পরেছে লাখো মানুষ। ফলে মানবিক
বিপর্যয় চলছে এসব এলাকায়।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান,
চলমান বৈরী আবহাওয়ার কারনে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। প্রায় পাঁচ শতাধিক ইলিশ ধরা ট্রলার তীরে ফিরতে শুরু করেছে। খেপুপাড়া রাডার ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ জানান উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে মৌসুমি বায়ুচাপ সক্রিয় থাকায় পায়রা বন্দরকে দুই নম্বর সতর্ক
সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।